আমরা

যখন রাস্তাগুলো বেঁকে যাচ্ছে ক্রমশ আর রাস্তার ধারে জাপ্টাজাপ্টি করে পড়ে আছে হতাশা ও বিভ্রান্তি! যখন খাদের কিনারে দেখি জ্যোৎস্নায় মাখামাখি চরাচর–তারই মাঝে ছোটোখাটো ছায়া, চ্যাপলিনের মতো গোঁফ। যেন নৈশভোজ সেরে উঠে দাঁড়ালেন মহামতি ফ্যুয়েরের!

যখন অন্ধকার ঘন হচ্ছে। ঘনতর হচ্ছে। যখন আক্রমণ আর কোনো বিশেষ মতের ওপরই সীমাবদ্ধ থাকছে না। ঘাতকের নিশানায় মতের বহুত্ব! যখন যুগের মাসিহার ছোঁড়া হাতবোমা গুঁড়িয়ে দিচ্ছে যুক্তিবোধ। তছ্‌নছ্‌ করছে তর্কের পরিসর… কী আর করতে পারি আমরা?

আক্রমণ আজ বহুমুখী। প্রতিরোধও প্রয়োজন, নানা মুখে। মানুষকে যুগপৎ হাতে, ভাতে, জাতে মারার আয়োজন ভেস্তে দিতে হবে না? ভরসার কথা, রাস্তার হামলা রুখতে রাস্তায় লড়ছেন অনেকে। কিন্তু স্রেফ তাতেই হবে না। দরকার অন্য অন্য পথেও এগোনো। দরকার প্রশ্নচিহ্ন। প্রশ্নচিহ্ন ব্যবহারের অধিকার। দরকার মত; বহুমতের অবকাশ। যুক্তি’র কথা। প্রয়োজনে কথা কাটাকাটিও। স্বপ্নভঙ্গের ঋতুতে স্বপ্ন দেখা, দেখানোর দায়। স্বপ্ন যে ভাষায় দেখি, সেই বাংলাতেই।

স্বপ্ন– ঘুমোতে ঘুমোতে দেখা দৃশ্যাবলী নয়, যা আমাদের ঘুমোতে দেয় না, সেই স্বপ্ন, যখন ভাঙ্গিয়ে দিচ্ছে ঘুমের নিশ্চয়তা। সবার। একসাথে।

একসাথে মানে- ‘কোরাস’।

এখানে আপনার মন্তব্য রেখে যান